ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ১২:৪৮ এএম
ঢাকা নগরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নে মেট্রোরেল বুধবার উদ্বোধন করা হবে। ঢাকার গণপরিবহনে নতুন যুক্ত হওয়া এ রেল সকাল ১১টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে নিজ খরচে ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ পতাকা উড়িয়ে ও ফিতা কেটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন। পরে উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে টিকিট কেটে মেট্রোরেলে উঠবেন তিনি, নামবেন আগারগাঁও স্টেশনে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক এই গণপরিবহনে প্রথম দিনের যাত্রী হবেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অনেক অতিথি।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেট্রোরেলে আমন্ত্রিত সকল অতিথিকে নিজের টাকায় ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে ৫০০ টাকার একক টিকিট বা কার্ড কিনেছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংগৃহীত টিকিটের ছবি পোস্ট করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, 'উত্তরা থেকে আগারগাঁও, ঐতিহাসিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত! সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে নিজের টাকায় ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে।'
একইভাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মেট্রোরেলের ৫০০ টাকার একক টিকিট বা কার্ড কিনেছেন। তিনি সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, 'প্রস্তুত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলবে.. আগামীকাল দেখা হবে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মেট্রোরেল দেশের নগর গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক। বুধবার দেশের প্রথম এই রেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উৎসবের অংশীদার হতে ৫০০ টাকার রিচার্জ কার্ড কিনেছি।
এদিকে মেট্রোরেলের টিকিট নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলে যাত্রা করার জন্য দুই ধরনের টিকিট বা পাস পাওয়া যাবে। এর মধ্যে একক যাত্রার টিকিট বা কার্ড স্টেশনের বাইরে নেওয়া যাবে না। এটি স্টেশনের বাইরে বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
একক যাত্রার টিকিট বা কার্ড
এই টিকিট বা কার্ড শুধু ক্রয়ের তারিখে একবারের জন্য ব্যবহারযোগ্য। প্রবেশ গেটে টিকিট স্পর্শ করানোর পর সর্বোচ্চ ১০০ মিনিট কার্যকর থাকবে। অনুমোদিত দূরত্ব বা সময়সীমা অতিক্রম করলে অতিরিক্ত ভাড়া প্রযোজ্য হবে।
টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কেনা যাবে। হ্রাসকৃত মূল্যে বা ছাড়ে কেনা টিকিট কোনোক্রমেই হস্তান্তরযোগ্য নয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রস্থানের সময় টিকিট অবশ্যই বহির্গমন গেটের স্লটে প্রবেশ করাতে হবে। টিকিট কোনও অবস্থাতেই স্টেশনের বাইরে নেওয়া যাবে না। স্টেশনের বাইরে একক যাত্রার টিকিট বহন দণ্ডনীয় অপরাধ।
তবে ক্রয়ের তারিখে অব্যবহৃত টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে টাকা ফেরত নেওয়া যাবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস
মেট্রোরেলে একাধিকবার ভ্রমণের জন্য এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করা যাবে। একটি টিকিটে প্রতিবার শুধু একজন ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রতিটি পাসের মূল্য ধরা হয়েছে ৪০০ টাকা। তবে এর মধ্যে জামানত হিসেবে থাকবে ২০০ টাকা, যা ফেরতযোগ্য। আর বাকি ২০০ টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবহার্য। তবে যাত্রী চাইলে তার একাউন্টে ১০০ টাকা বা তার গুণিতক হারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করতে পারবেন। টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) বা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে পাস রিচার্জ করা যাবে।
তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা নির্ধারিত কাউন্টার থেকেই একক যাত্রার টিকিট ও পাস কিনতে এবং রিচার্জ করতে পারবেন।