জুন ৭, ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ক কোনো কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে ঢাকায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএিএইচসিআর) সতর্ক করেছে সরকার।
মঙ্গলবাল (৬ জুন) মঙ্গলবার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার বাংলাদেশ প্রধান জোহানেস ভ্যান ডার ক্ল’কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এ সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
‘প্রত্যাবাসনে রাজি হওয়া চারটি রোহিঙ্গা পরিবারকে খাবার দেওয়া বন্ধ করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা’, গত সোমবার গণমাধ্যমে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন সংস্থাটির প্রধানকে তলব করে সতর্ক বাণী দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি বলেছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বাংলাদেশ প্রধানকে ডেকে জানানো হয়, রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ওই সংস্থা এবং ওই চুক্তিতে যা বলা আছে তা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
ওই সূত্রটি আরও জানায়, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং বলেছে রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে-তা নিয়ে রোহিঙ্গারা কিছুটা বিভ্রান্ত। এর জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সংস্থাকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে তা দেখার দায়িত্ব তাদের নয়। রোহিঙ্গারা যেখানে থাকবে, সেখানেই তাদের সেবা দিতে হবে-চুক্তিতে এমন শর্ত উল্লেখ করা আছে বলেও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, বাংলাদেশ প্রধানকে জানানো হয়।
প্রায় ছয় বছর ধরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে কিছু রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠানোর চেষ্টা করছে সরকার। এমতাবস্থায় প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা রোজিঙ্গাদের উপদেশ দেওয়া বা প্রভাবিত করা বাংলাদেশ সরকার চায় না। মূলত এটি জানানোর জন্যই জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বাংলাদেশ প্রধানকে তলব করা হয়েছিল বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি।