আগামী শুক্রবার থেকে সয়াবিন ও পাম; অর্থাৎ ভোজ্যতেল কেনাবেচায় পাকা রসিদ ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। পাকা রসিদ হচ্ছে দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানাসহ ছাপানো কাগজের রসিদ।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সচেতনতামূলক বৈঠকে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ কথা বলেন। ভোজ্যতেল সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার অংশ হিসেবে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেল সরবরাহে সংকট নেই। আগামী রমজান মাস পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর জন্য যত তেল দরকার হবে, তা মজুত আছে। অথচ সংকটের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
বিপণনব্যবস্থায় অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে সফিকুজ্জামান আরও বলেন, যারা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানের পর মুঠোফোনে জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলের বাজার ঠিক রাখার স্বার্থেই কাল বুধবার ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
মুখের কথায় সারা দেশে ভোজ্যতেল কেনাবেচায় পাকা রসিদের ব্যবহার কতটা কার্যকর করা যাবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, “অবশ্যই যাবে। আমরা তো আছিই। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও (ইউএনও) এ ব্যাপারে কাজ করছেন।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ জুন পণ্য বিক্রিতে পাকা রসিদ ব্যবহার ও মূল্যতালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করেছিল। বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের উদ্দেশে জারি করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, নিত্যপণ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে খুচরা বিক্রেতা, পাইকার ও পরিবেশক, এ তিন পর্যায়েই পাকা রসিদ ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া দোকানের প্রকাশ্য স্থানে পণ্যমূল্য টাঙিয়ে রাখতে হবে।