মে ৭, ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাত মসজিদ রোডে গাছ কাটা বন্ধ ও গাছকাটা স্থানে বৃক্ষ রোপণের পদক্ষেপ নিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৩৭ বিশিষ্ট নাগরিক। অন্যদিকে রবিবার (৭ মে) থেকে গাছের জীবন বাঁচাতে সাত মসজিদ সড়কে অবস্থান নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশবিদরা।
রবিবার ডাকযোগে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে চিঠি পাঠানো হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আইনজীবী মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল গালিব।
চিঠিতে বলা হয়, ‘নগরীর কয়েকটি এলাকায় সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে হাত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উন্নয়নের নামে ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়ক বিভাজকে থাকা সব গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলছে। সাত মসজিদ সড়ক বিভাজকে বেড়ে ওঠা গাছগুলোর মধ্যে আগ্রাসী প্রজাতির গাছ খুব একটা নেই। বট, বড়ই, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া, শিরিষ গাছগুলোর পাশাপাশি সেখানে দেখা যায় বেশকিছু তৃণগুল্ম ও লতা ঝোঁপ। ফলে এখানে বর্ষাকালে পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ দেখা যায় যা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাছগুলো কোনোভাবেই সড়ক ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, বরং এই গাছগুলোই এতদিন এই সড়ক ও এলাকার সৌন্দর্যবর্ধন করেছে। এসব গাছ রেখেই সড়ক বিভাজকের সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করা সম্ভব।’
সাত মসজিদ সড়কের বিভাজকে গাছ কাটার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার রাত থেকে রবিবার (৭ মে) পর্যন্ত তিনটি মানববন্ধন করেন পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকরা। এর আগে গত জানুয়ারিতে সাত মসজিদ সড়কে কিছু গাছ কাটে সিটি করপোরেশন। পরে প্রতিবাদের মুখে তা বন্ধ রাখা হয়। ওই ঘটনার পর আবার গাছ কাটতে শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। গাছ কাটা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে গত ২ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদকেও চিঠি দেওয়া হয়। একই দাবিতে সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হবে।
চিঠিতে সাক্ষর করেন-বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) প্রধান নির্বাহী শামসুল হুদা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নারীপক্ষেরে সদস্য শিরিন হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক গীতিয়ারা নাসরীন, বেলার প্রধান নির্বাহী রিজওয়ানা হাসান, নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ব্রতীর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান শারমীন এস মুরশিদ, বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল শিল্প ও জাদুঘর কিউরেটর আমিরুল রাজিব, অর্থনীতিবিদ নাঈম উল হাসান, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।