বেটা
মে ১২, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম
মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে কাছাকাছি আসার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা কাজ করছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। পায়রা বন্দরে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। রাজনৈতিক কোনো বিষয় না, দুটি দেশ যাতে এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যেই কোস্টাল শিপিং বা উপকূলীয় নৌচলাচল চুক্তি করার কথা চলছে।
শুক্রবার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি এবং শ্রীলঙ্কার বন্দর, নৌ ও বিমানমন্ত্রী নিমল সিরিপালা ডি সিলভা নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক সংকটের কারণে দু’দেশের মধ্যে অনেক আলোচনা স্থবির হয়ে গিয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কায় কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে সেই সভাটি হয়নি। কলম্বোতে পরবর্তীতে যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে; সেখানে মেরিটাইম সেক্টরের বিষয়গুলো আমরা চূড়ান্ত করতে পারব।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে শ্রীলঙ্কার বন্দর, নৌ ও বিমানমন্ত্রী নিমল সিরিপালা ডি সিলভা বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা আরও এগিয়ে যাব। চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচল বাড়াতে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগও বাড়ছে জানিয়ে শ্রীলঙ্কার এই মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সাড়ে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আস্থা বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পেতে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক কাঠামো নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সেখানে মেরিটাইম খাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে শ্রীলঙ্কার প্রাইভেট সেক্টর প্রস্তুত আছে। এটি বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের নতুন দৃষ্টান্ত হবে। কলম্বো বন্দর হয়ে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরও বাড়াতে চাই যাতে বাংলাদেশের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, শ্রীলঙ্কার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী থারাকা বালাসুরিয়া, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার নিযুক্ত হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন সেনেভিরাতনে প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিদল শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন।
-20250401105346.jpg)
-(1)-20250331060738.jpg)
