আসছে ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ১৬ নেতাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চিঠিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে, গত রবিবার এই ১৬ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল মহানগর বিএনপি। পরদিন সোমবার তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তবে কোনো উত্তর না পাওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।
যাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে:
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বকর কিনু। রাজপাড়া থানা শাখা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি। নগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বেলাল হোসেন। শাহমখদুম থানার সাবেক সহসম্পাদক আবদুস সোবহান লিটন। শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. টুটুল। নগর যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল। ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা রিপন। নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটু। মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ২৭ নম্বরের প্রার্থী আনোয়ারুল আমিন আজব। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন। যুগ্ম সম্পাদক ও ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আয়েশা খাতুন মুক্তি। সহসভাপতি ও ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শাহানাজ বেগম শিখা। যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সামসুন নাহার। মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফুল হাসান বাচ্চু। বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলতাফুন নেসা পুতুল। মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী মুসলিমা বেগম বেলী।
চিঠিতে যা লেখা হয়েছে:
‘রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় গত ৫ জুন আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসদাচরণ। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে আপনি গত ১৫ বছর ধরে চলমান আন্দোলনে যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।’