বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৬, ২০২১, ০২:১৬ পিএম

বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও সরকার উৎখাতের হুমকির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলা করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ মামলাটি আমলে নেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- রাজশাহী নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোসাব্বিরুল ইসলামের পক্ষে মামলাটি আদালতে দাখিল করেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আদলত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। পরে আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলার বাদীর জবানবন্দি নেন। তবে আদালত তাৎক্ষণিকভাবে কোনও আদেশ দেননি। নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদেশ দেয়া হবে।’

মামলা দায়েরের সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ দলেন শীর্ষ নেতারা।

এসময় লিটন বলেন, ‘মিনু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়েছেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় এর বিচার চাই। সাংগঠনিকভাবেও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাতে চাই।’

গত ৯ মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল জলিলের কাছে পেনাল কোডের ১২৩(এ)/ ১২৪(এ)/৩২ ধারায় বিএনপির এ চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ জমা দেন অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসকের দপ্তর হয়ে সেই আবেদন যায় মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে। সেখান থেকে যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পরে সোমবার (১৫ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির এ চার নেতার নামে মামলার অনুমোদন দেয়।

গত ২ মার্চ বিকেলে নগরীর মাদরাসা মাঠ সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে রাজশাহী নগর বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজ রাত, কাল আর সকাল নাও হতে পারে। ‘৭৫ মনে নাই?’ সেই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকেও কটাক্ষ করেন মিনু।

মিনুর এই বক্তব্যের পরই ক্ষোভ প্রকাশ করে নগর আওয়ামী লীগ। পরদিন ২ মার্চ এই বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখানে মিনুকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। অন্যথায় মিনুর বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন তিনি।

গত ৭ মার্চ বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার কারণে দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন মিজানুর রহমান মিনু। ওই বিবৃতিতে তার বক্তব্যে ‘ষড়যন্ত্র’ না খোঁজার অনুরোধ তিনি জানান।

Link copied!