রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধকোটি টাকার যন্ত্র চুরি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৫:১৪ এএম

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধকোটি টাকার যন্ত্র চুরি

রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল চুরির ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। এবার কেন্দ্রের ভেতরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার একটি যন্ত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের 'বোম্ব ক্যালরিমিটার' যন্ত্রটি কয়লার অভাবে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১৫ জানুয়ারি চুরি হলেও এখনও তা উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ চুরির ঘটনায় করা মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, চুরির ঘটনাস্থলে কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ কর্মী ও কর্মকর্তা ছাড়া বাইরের কারও প্রবেশ সম্ভব নয়।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তথ্য জানিয়ে রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, “তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা পরীক্ষার যন্ত্র চুরির ঘটনায় আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।”

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় কেন্দ্রের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, কেমিস্ট আবদুল মালেক ল্যাব বন্ধ করার সময় দেখে যান টেস্টিং যন্ত্রটি টেবিলের ওপরেই ছিল। আবদুল মালেক চলে যাওয়ার আগে তালার চাবি ল্যাব-১–এর মুসা পারভেজকে দিয়ে ল্যাব টেকনিশিয়ান সাদ্দাম হোসেন ও তানভীর রহমানকে দিয়ে যান। রাত ১০টায় ওই স্থানে দায়িত্বে (ডিউটি) আসেন জাকারিয়া আল রাজী ও মাসুম বিল্লাহ। ১৫ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তাঁদের কাজের সময় শেষ হয়। পরে সাদ্দাম হোসেন ও মাসুম বিল্লাহ দায়িত্ব নেন। সকাল ৯টার দিকে ক্লিনার আবদুল নোমান ল্যাব-২ পরিষ্কার করতে এসে টেবিলে যন্ত্র দেখতে না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) মো. অলিউল্লাহ বাদী হয়ে করা মামলার একটি এজাহারের কপি পাওয়া গেছে; তাতে দেখা যাচ্ছে আসামি হিসেবে কারও নাম নেই। বলা হয়েছে, ‘অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা সকলের অজান্তে ঘটনাস্থল থেকে চুরি করিয়া নিয়া গিয়াছে’।  

মো. অলিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “চুরির ঘটনায় আমরা মামলা করেছি, এখন তদন্ত কাজ চলছে।“

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জিনিসপত্র চুরি যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। বারবার সেখানে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। গত ১৫ মাসে র‌্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের অভিযানে এই কেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া কোটি টাকা মূল্যের মালামাল উদ্ধার হয়েছে। আটক করা হয় ৫৪ জনকে।

Link copied!