অক্টোবর ১০, ২০২২, ১১:২১ পিএম
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য ফোনালাপে তিনি ওই আশ্বাস দেন। গত মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই তার প্রথম ফোনালাপ। এ সময় ড. এ কে আব্দুল মোমেন নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এঘটনাকে দুই-দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, ফোনালাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের অবদান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। চলমান সংঘাত (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) এবং এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিটেন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য জেমস ক্লেভারলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে লিজ ট্রাস সরকারকে জোরালো এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানান। এসময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।