ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম
বিশ্ব ভালবাসা দিবসে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন এক জামাতা। ওই ঘটনায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন শ্বশুড়। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কাজের কারণে প্রায় সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন শ্বশুর। এ সুযোগে পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শাশুড়ির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন জামাই। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান জামাই। বাধ্য হয়ে স্ত্রী ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন শ্বশুর। সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্বশুর বাদী হয়ে ওই মামলার আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে জামাই ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মামলার বাদী ও অভিযুক্ত সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, শ্বশুরের করা মামলায় জামাই ও শাশুড়ি পলাতক। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তির বড় মেয়ের সাথে পলাতক ওই জামাইয়ের বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। শ্বশুর কাজের সুবাদে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সুযোগে সবার অগোচরে শাশুড়ির সাথে সম্পর্কে জড়ান জামাই। এক পর্যায়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় শ্বশুর ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলেন। ঢাকা থেকে ফিরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী (শাশুড়ি) পালিয়ে গেছেন।
মামলার বাদী বলেন, জামাইয়ের আট মাসের একটি কন্যাশিশু আছে। আমি মাসে ২০ থেকে ২৫ দিন কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময় পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়ায় জামাই এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।