এপ্রিল ৭, ২০২২, ১১:৩০ পিএম
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবি করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ দাবি করে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্রের শিকার শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল। আমরা তার নিঃর্শত মুক্তি দাবি করছি। আর যে কিশোর ছাত্ররা মৌলবাদী চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে অপমান করে পুলিশে সোপর্দ করেছে, তাদের মধ্যে মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে যেভাবে প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উগ্র মৌলবাদী, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার প্রসার ঘটছে, তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিকৃত সাম্প্রদায়িক মানসিকতায় আচ্ছন্ন পুলিশ কর্তৃক কলেজ শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দারের লাঞ্ছনার ক্ষত উপশমের আগেই স্কুল শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের লাঞ্ছনা ও গ্রেফতারের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।’
হৃদয় মণ্ডলের স্বজনরা যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ভিকটিমকে আইনি সহযোগিতা দেবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সমাজকর্মী মালেকা খান, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, মাহফুজা খানম, জননেতা ঊষাতন তালুকদার, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, চলচ্চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শ্রেণিকক্ষে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।