বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঘুষি মেরে দাঁত ভেঙে দিলেন প্রধান শিক্ষকের। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পন্ডিতপুকুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নন্দীগ্রামের কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেনের ঘুষিতে একই উপজেলার তেতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর তিনটি দাঁত ভেঙে যায়। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাজ্জাদুল ইসলামের স্ত্রী ও কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভা হয়। ওই সভায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর তিনি সভা শেষ না করেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় সাজ্জাদুল ইসলাম পন্ডিতপুকুর বাজারে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনের কাপড়ের দোকান গিয়ে তার কাছে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে মুখে ঘুষি দিলে সাজ্জাদুলের সামনের তিনটি দাঁত ভেঙে যায়।
এপ্রসঙ্গে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন সাজ্জাদুল ইসলামের সঙ্গে হাতাহাতির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘তিনি (সাজ্জাদুল) দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে দাঁত পড়ে যায়’।