পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ উল আজহা উদযাপন করতে নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ। লকডাউন শিথিল থাকায় দূরপাল্লার পরিবহন ও আন্তঃজেলা পরিবহনে করে জনগণ ছুটছে পরিবারের কাছে। রবিবার (১৮ জুলাই) দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে যেতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে।
রবিবার (১৮ জুলাই) শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঈদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষের জনস্রোতের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে হাজারো যাত্রী ঘাটে এসে ভিড় করছেন। এদিকে পরিবহন পারাপারের ঘোষণায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল উল্লেখ করার মতো।
স্থানীয় ও নৌপুলিশ সূত্র জানায়, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি রবিবার ঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া শাখা সূত্রে জানা যায়,যাত্রী আর যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৮ টি ফেরি সচল রয়েছে।
সকালে শিমুলিয় ফেরিঘাটে প্রবেশের সবগুলো পথেই মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।গত কয়েকদিনের চেয়ে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির দ্য রিপোর্টকে বলেন,‘ আজও (রবিবার) হাজারো মানুষ ফেরিতে নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে এসেছেন। আমরা চেষ্টা করছি জনগণের ভোগান্তি যাতে কম হয়। এজন্য যাত্রীদের লাইন দিয়ে ফেরিতে ওঠানো হচ্ছে।’
শিথিল হওয়া লকডাউন চলাকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কোনো স্পিডবোট চলছে না।স্পিডবোটের সার্ভে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) রুট পারমিট না পাওয়ায় এ রুটের সব স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর এই কারণে ফেরিতে ও লঞ্চে নদী পারের জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে স্রোত থাকার ফলে ছোট ৬টি ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী পারাপারে ৭৮টি লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, মাওয়া ঘাটে উপচে পড়া ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি থাকলেও তাদের প্রায় সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন বলে মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় প্রচুর যাত্রী ও যানবাহন ঘাটে আসছে। যেসব লঞ্চে অধিক যাত্রী ধারণ করা হচ্ছে ও নিয়ম অমান্য করছে, তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।