মে ১৭, ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম
আজ ১৭ মে-আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের এদিন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।
এই দিবসটি স্মরণ করে শেখ হাসিনার ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ই মে, মা-বাবা-ভাই হারিয়ে এক বিষাদগ্রস্ত মন, অশ্রুভেজা চোখ, নিদারুণ কষ্ট বুকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যার প্রত্যাবর্তনে তৈরি হয় নতুন ইতিহাস, পুনরুদ্ধার হয় গণতন্ত্র গড়ে ওঠে মধ্যম আয়ের সমৃদ্ধ ডিজিটাল রাষ্ট্র। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যার প্রত্যাবর্তনে তৈরি হয় নতুন ইতিহাস,
পুনরুদ্ধার হয় গণতন্ত্র গড়ে ওঠে মধ্যম আয়ের সমৃদ্ধ ডিজিটাল রাষ্ট্র।
১৯৮১ সালের ১৭ই মে, মা-বাবা-ভাই হারিয়ে এক বিষাদগ্রস্ত মন, অশ্রুভেজা চোখ, নিদারুণ কষ্ট বুকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারছি। হিংসার রাজনীতি দূরীভূত হয়ে আজ আমরা সচ্ছল হয়ে উঠেছি, শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি একটি সুজলা-সুফলা শ্যামল বাংলাদেশে।
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহর-উপশহর-মফস্বলের প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তিসহ শিক্ষাখাতের যে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মানবিক ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনায় স্মার্ট প্রজন্মের হাত ধরে ক্রমেই গড়ে উঠছে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন শেখ হাসিনা। ওইদিন ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।”