বেটা
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার শিরিন ম্যানশনের ৩য় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়নি। রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল এ তথ্য জানায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান কমান্ডিং অফিসার মেজর মো. কায়সার বারী বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আমরা মনে করছি, এ বিস্ফোরণ বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি।”
তিনি বলেন, “এটা যেকোনো ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানার জন্য আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে।”
বিস্ফোরণের ঘটনায় বোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের আলামত পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন,“যদি বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করা হতো তাহলে আমাদের যন্ত্রের মাধ্যমে সেটা বুঝতে পারতাম। আমরা যেহেতু বিস্ফোরক শনাক্ত করি আমাদের যন্ত্র দিয়ে, তাই প্রাথমিকভাবে আমরা বলতে পারি এখানে বিস্ফোরক দ্রব্যের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এখানে বারুদ বা আইইডি ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।” এসময় বিস্ফোরণের আসল কারণ আরও তদন্ত শেষে জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে ঢাকা কলেজের উল্টো দিকে বসুন্ধরা গলির ‘শিরিন ম্যানশন’ নামক ভবনে এসির বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট গিয়ে বেলা ১১টা ১৩ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বিস্ফোরণের পর দেয়ালধসে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন— শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, এসির বিস্ফোরণের পর ভবনটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে যায়। বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
