মার্চ ১০, ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বংশাল থানায় মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. জাফর হোসেন জানান, অবহেলার অভিযোগে ৩০৪ (ক) ধারায় মামলা হয়েছে।
৩০৪ (ক) ধারায় বলা হয়েছে,যদি কোনো ব্যক্তি বেপরোয়াভাবে বা অবহেলার কারণে কারও মৃত্যু ঘটান এবং তা যদি শাস্তিযোগ্য নরহত্যা না হয়, তবে সে ব্যক্তি পাঁচ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবেন।
মামলায় আসামি অজ্ঞাতনামা রাখা প্রসঙ্গে ডিএমপি উপকমিশনার বলেন, এ বিস্ফোরণে ভবনের মালিক, গ্যাস, নকশাসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কার দায় রয়েছে, সেটা তদন্তে ওঠে আসবে।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিতাসের পরিত্যক্ত লাইনের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাস জমে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে ভবনের বেজমেন্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৭ মার্চ বিকেলে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে কুইন ক্যাফে ভবন নামে পরিচিত একটি সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এদিকে গতকাল ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনটির মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের একটি দোকানের মালিক আবদুল মোতালিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ভবনমালিকসহ তিনজনের দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনটির মালিক, তত্ত্বাবধানকারী ও কয়েকজন দোকানিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ভবনটির মালিক রেজাউর রহমান মারা যাওয়ার পর তাঁর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান মালিক হন। তাঁদের মধ্যে বড় ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও ছোট ভাই মতিউর রহমান ভবনটি পরিচালনা করেন। মেজ ভাই মশিউর রহমান লন্ডনপ্রবাসী।