স্টেডিয়ামের জন্য অনশন করতে গিয়ে মারাই গেলেন রুমেল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২০, ২০২৩, ১১:১৯ পিএম

স্টেডিয়ামের জন্য অনশন করতে গিয়ে মারাই গেলেন রুমেল

বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুই দফা অনশনে বসেছিলেন যুবক হুমায়ুন আহম্মেদ রুমেল। রুমেলের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ করেই মারা গেল সে। বগুড়া বিমানবন্দর চালুর দাবিতে ঈদের পর তাঁর অনশন করার কথা। এরইমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের নাটাই পূর্বপাড়ায় নিজের বাসায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স ছিল ৪০ এর ঘরে।

নাটাই পূর্বপাড়ার এই বাসাতেই মায়ের সাথে থাকতেন রুমেল। তাঁর বাকি তিন ভাই চাকরির কারণে বগুড়ার বাইরে থাকেন। রুমেলের মা জানান, তাঁর ছেলে অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ ছিল। ওর সাথে রাতেও কথা হয়েছে। ভোরেই আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পাশে থাকার মত আর কেউ রইল না।

গত কয়েক দিন ধরেই বগুড়ার তামপাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি চলছিল। তীব্র গরমে নানা রোগে ভুগছে মানুষ। রুমেল ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জালালউদ্দিনের ছেলে। তিনি ‘চ্যানেল বগুড়া’ নামে একটি পেইজে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করতেন।

বিসিবির আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম পুনর্বহালের দাবিতে কিছুদিন আগে শহরের সাতমাথায় কাফনের কাপড় পরে দুই দফায় ‘অনশন’ করে আলোচনায় আসেন রুমেল।

তাঁর ওই কর্মসূচি আলোচনায় আসার পর বিসিবি সিদ্ধান্ত পাল্টায়। স্টেডিয়াম থেকে নিয়ে যাওয়া মালামাল গত ১০ এপ্রিল ফেরত পাঠানো হয় বগুড়ায়। একটি সফল কর্মসূচির পর এবার বগুড়া বিমানবন্দর চালুর দাবিতে আবার অনশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রুমেল। ঈদের পরে সেই কর্মসূচিতে বসার কথা ছিল তাঁর। এরইমধ্যে এল শোকসংবাদ।

‘চ্যানেল বগুড়া’ নামে ফেসবুক আইডিতে বুধবার রাত ১১টা ৪২ মিনিটে তিনি লেখেন, “জীবনের প্রথম স্মৃতি এবং জীবনের শেষ স্মৃতি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ!!!”

রুমেলের বন্ধু রাসেল ইসলাম বলেন, রুমেলের সাথে গতকাল দুপুর ১২টার দিকেও কথা বলি। সে মানসিকভাবে অনেক চিন্তিত ছিল। সে বিমানবন্দরের জন্য ঈদের পর অনশনে বসতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর আগেই কীভাবে যে কী হয়ে গেল!

প্রতিবেশী রকি হোসেন বলেন, রুমেল ভাই মাঝে মাঝেই না খেয়ে থাকতেন। হঠাৎ করে ভোরে অসুস্থতার খবর পেয়ে যাই। গিয়ে দেখি মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছেন, হাত পা ছড়ানো। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গাড়ি ভাড়া করতে যাই। এসে দেখি রুমেল ভাই আর নেই।

Link copied!