ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হওয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলের দিকে তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান।
তবে কী উদ্দেশ্যে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছেন হিরো আলম, তা এখনো জানা যায়নি। বেরিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, দুবাইতে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে ছুটে যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমসহ অনেকেই। সে সময় জানা যায়, ওই দোকানের মালিক বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান।
এ নিয়ে গত ১৬ মার্চ ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তদন্তের স্বার্থে সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
ডিবিপ্রধান বলেন, পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাঁকে শুধু হত্যাই করা হয়নি, মরদেহ যেন না পাওয়া যায় সেজন্য গাজীপুরের কালীগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার পর মামলা হয়। ডিবি তদন্ত করেছে। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও নকল একজন আসামি জেলখানায় দেন। পরবর্তী সময়ে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এর মধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে সোনার দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যান।
তিনি আরও বলেন, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি। একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছেন। মিডিয়ায় ও অনেকের বলার পরও সাকিবসহ অন্য তারকারা খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গেছেন। তার সোনার দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, গত ২৩ মার্চ রাতে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নাম যোগ হয়। তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।