সম্প্রতি দেশজুড়ে চালানো হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সংগঠনটির নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তারা ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছেন কোথায় কখন কার বাসায় বৈঠক হয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তথ্যমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
সেসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ভারতের ইকনোমিক টাইমস ও বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে, ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ব্যানারে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, সেখানে বিএনপি-জামাত সক্রিয় অংশ নিয়েছে, অর্থ যোগান দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সাহায্য করেছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ যেভাবে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি-সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ানো, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি ধ্বংস করা এমনকি ভিন্নধর্মের উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, এটি নিছক বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর তাতে বিএনপি ও জামায়াত পুরোপুরিভাবে সহায়তা ও অর্থ দিয়েছে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও অর্থায়ন পেয়েছে। সুতরাং এই নৈরাজ্যে যারা জড়িত ছিল এবং যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।’
এর আগে অনলাইনে রাঙ্গুনিয়ায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনে দেয়া বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী করোনাকালে দিনমজুর, মাঝি, রিক্সা-ভ্যানচালকসহ খেটে-খাওয়া নিম্নবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তার এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। একইসাথে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানুসারে তাদেরকে কৃষকদের ধানকাটায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।