বেটা
আগস্ট ১৩, ২০২২, ১২:২২ পিএম
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে ‘টপ সিক্রেট’ লেখা বেশ কয়েকটি গোপন নথি উদ্ধার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
কাতারভিত্তিক আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার আদালতের আদেশে উদ্ধারকৃত জিনিসগুলোর বিবরণ দেয় এফবিআই। সংস্থাটির দেওয়া বিবরণে সোমবার অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা ১১ সেট গুরুত্বপূর্ণ নথির কথা উল্লেখ করা হয়।
অভিযান চালিয়ে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বিলাসবহুল বাড়ি ‘মার-আ-লাগো’থেকে ২০ বাক্স কাগজপত্র, অসংখ্য ছবি ও হাতে লেখা নোটসহ মোট ৩০ ধরনের নথি উদ্ধার করা হয়েছে।ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নথিপত্র সংরক্ষণ করে ন্যাশনাল আর্কাইভস। ট্রাম্প কীভাবে সেখানকার নথিপত্র ব্যবহার করেছেন, তা তদন্ত করে দেখতে গত ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটি মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে অনুরোধ করে।
এফবিআইয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযান চালিয়ে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বিলাসবহুল বাড়ি ‘মার-আ-লাগো’থেকে ২০ বাক্স কাগজপত্র, অসংখ্য ছবি ও হাতে লেখা নোটসহ মোট ৩০ ধরনের নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার সকল চিঠিপত্র, কাজের কাগজপত্র এবং ই-মেইল ন্যাশনাল আর্কাইভের কাছে হস্তান্তর করতে হয়।তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় হোয়াইট হাউস থেকে বহু গোপন নথি সরিয়ে ফেলেছেন। গুপ্তচরবৃত্তি ও আইন লঙ্ঘনের দায়ে ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশির অনুমতি দেন আদালত। অভিযানের চারদিন পর শুক্রবার প্রকাশ করা হয় ফেডারেল আদালতের ওয়ারেন্টের ছবি।
ওয়ারেন্টে দেখা যায়, সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা নথি অবৈধভাবে রাখার সন্দেহে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের বাসভবনে ওই অভিযান চালানো হয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জব্দ করা রেকর্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কিছু গোপনীয় নথি রয়েছে। তবে সেই নথিগুলো এবং তাতে কী কী তথ্য থাকতে পারে সে সম্পর্কে আদালতে সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেয়া হয়নি।
মার্কিন সরকারের নথির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘টপ সিক্রেট’ নথিগুলো। মার্কিন আইনে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ্যে আনা এবং ভুল ব্যবস্থাপনা করা নিষিদ্ধ।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তার বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত নথিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না এবং এটি কোনো আইন লঙ্ঘন করেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “তাকে এই নথিগুলোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বিচার বিভাগের কাছে ফিরিয়ে দিতেন।”
