জুন ২, ২০২১, ১১:২৫ পিএম
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। শুধু নির্বাচন না। চাই একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র।’
বুধবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর পুরাতন পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম হলে ‘সুশাসনে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের মানুষ। প্রাণের মানুষও মাঝে মাঝে ভুল করে। ওনার সবচেয়ে বড় ভুল হলো উনি গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন। উনি গণতন্তের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন ভারতের ও সিপিবির প্ররোচনায় ওনার হঠাত শখ হলো আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার। উনি ওনার মৃত্যুর আগের দিন আমাকে সাভার থেকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বাকশালে যোগদানের জন্য। আমি বলেছি মুজিব ভাই, আপনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্রের জন্য। এই কাজ করবেন না। আমি সত্য বলতে কখনো ভয় পাই নাই । সেই যুগেও পাইনি, এখনো পাই না। জেল, পুলিশের অত্যাচার এসব সহ্য করেই বড় হয়েছি। মুজিব ভাইকে আমার সত্য বলা নৈতিক দায়িত্ব ছিল। আমি পরের দিন বিলেতে চলে গিয়েছিলাম। এয়ারপোর্টে নামার পর আমাকে ডেকে বলা হয়েছিল , Mr Chowdhury? Your president have been killed. What Is your reaction ? আমার চোখে পানি এসেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যারা শেখ হাসিনাকে রোল মডেল বানাচ্ছেন, কওমি জননী বানাচ্ছেন সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। অথচ আমি কখনো আওয়ামীলীগ , ছাত্রগীগ করিনি। তাদের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। সিরাজুল আলম খান আমার বন্ধু মানুষ। সেদিন আমার চোখে অজান্তেই জল চলে এসেছিল। আমি অনেক কষ্ট করে বলেছিলাম উনি ওনার রক্ত দিয়ে জাতির ঋণ পরিশোধ করে গেছেন। তাই ওনাকে (বঙ্গবন্ধুকে) যদি আমরা শ্রদ্ধা করি আজকে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্র মানে একদিনের ভোট না, সুশাসন।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘কাল জজ সাহেব ৫৪ জন ছাত্রের জামিন দেননি। এই জজ সাহেবের বিচার করতে হবে রাস্তার মাঝখানে এনে। তারা চাইছেন, তাদেরকে ন্যাংটা করে লোকজন তাদের গায়ে থুতু দেবে। আমাদের সৌভাগ্য ৭ দিনের মধ্যে আমরা রোজিনা ইসলামের মুক্তি পেয়েছি। সাত দিনও লাগা উচিৎ ছিল না। এক দিনে জামিন পাওয়া উচিৎ ছিল। ভাল লেগেছে যে আওয়ামী সাংবাদিক, বিএনপি সাংবাদিক ভাগ না হয়ে একত্রে রাস্তায় নেমেছে। আমরাও তাই তাদের পাশে ছিলাম। সরকার ভয় পেয়েছে। তৎক্ষণাৎ রায় দেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রীর ওহির আশায় উনি দেরি করে জামিন দিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রদের জামিন হলো না। তাদের অপরাধ তারা মোদিকে গালি দিয়েছে। মোদী গালিরই যোগ্য। সে ঘৃণ্য কসাই। কসাইকে কসাই বলা কি অপরাধ ? মোদির কারনে ভারত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সে এসেছিল হাসিনার সমর্থন নিয়ে পশ্চিম বঙ্গ দখল করতে। কিন্তু পশ্চিম বঙ্গের মানুষ সচেতন।তারা মমতা ব্যানারজিকে সমর্থন দিয়েছে। মমতা ইসলাম ধর্মকে কখনো ছোট করার চেষ্টা করে নাই।’