এপ্রিল ১৮, ২০২১, ০৬:৫২ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মিমাংসার কূটনৈতিক নীতির প্রশংসা করে বলেন, ‘এই নীতির মাধ্যমে তিনি আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রের এক নতুন পথ উন্মোচন করেছেন। এই নীতি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সামনে রেখেছে এবং লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পররাষ্ট্র-নীতি বিশেষজ্ঞরা এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং উন্নয়নের প্রশংসা করতে ভুলে যান না।’
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস তার অভ্যন্তরীণ উৎসাহ ও দিক-নির্দেশনায় চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরীতা নয়’ এই নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষ উপলক্ষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে ১৪৭টি অভিনন্দন-বার্তা ও ৩০টি ভিডিও-বার্তা পাঠানোর জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশী কূটনীতিকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের ফরেন সার্ভিসগুলোতে দায়িত্বরত অনেক কর্মকর্তার কঠোর পরিশ্রমের কারণেই আন্তর্জাতিক শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক কাজে বাংলাদেশের অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে আমাদের দেশ অত্যন্ত গর্বের সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন করেছে।‘
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে- আমরা বিগত ৫ দশক ধরে বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে বিদেশী মিশনগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারীকালে সাহসিকতার সাথে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশী কূটনৈতিকদের সাহসী ও গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর এদিনটিকে ‘ফরেন সার্ভিস দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে কোলকাতায় পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর আনুগত্য অস্বীকার করে। এবং বাংলাদেশী কূটনীতিকরা পাকিস্তান ডেপুটি হাই কমিশনের কার্যালয় দখল করে ভবনের ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উত্তলন করেন। এটাই ছিল বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম মিশন।