সাত মাস বন্ধ থাকার পর আবারও আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিকে পুরোদমে সচল রাখতে শিল্পকারখানাগুলোতে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি কেনা শুরু করতে হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ডেলিভারির জন্য একটি এলএনজি কার্গো চেয়েছে। যদিও এ বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিউ) এলএনজি ১৯ দশমিক ৭৪ মার্কিন ডলার দরে সরবরাহের কাজ পেয়েছে ইউরোপিয়ান টোটাল এনার্জিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে টোটাল এনার্জিকে এলএনজি সরবরাহের অনুমোদন দেওয়া হয়। এলএনজি কার্গো জাহাজটি ৩৩ হাজার ৬০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি নিয়ে আসবে।
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনতে গত মাসে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১৪.৫ শতাংশ থেকে ১৭৮.৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
গত বছরের আগস্টে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম সর্বোচ্চ ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে উঠেছিল। এ বছরের শুরু থেকে ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়ায় এলএনজির দাম এখন পড়তির দিকে।
এর আগে গত বছরের জুনে বাংলাদেশ সর্বশেষ স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনেছিল। তখন প্রতি এমএমবিটিউ গ্যাসের দাম ছিল ২৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
গত ১৮ জানুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, এলএনজির দাম এই পর্যায়ে থাকলে সরকার স্পট মার্কেট থেকে আমদানি অব্যাহত রাখবে।