এডিবি’র প্রতিবেদন

করিডর সুবিধায় ২০৫০ সাল নাগাদ ৭ কোটির বেশি কর্মসংস্থান হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৩, ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম

করিডর সুবিধায় ২০৫০ সাল নাগাদ ৭ কোটির বেশি কর্মসংস্থান হবে

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ১ কোটি ৫৭ লাখ কর্মসংস্থান হবে। আর ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৮ লাখ কর্মসংস্থান হবে। করিডোর সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে ২৮৬ বিলিয়ন ডলার বা ২৮ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার।  বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা (১ ডলার = ১০৯ টাকা)। 

‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে  ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্থনৈতিক করিডর সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে ২০৫০ সালে কর্মসংস্থান হবে ৩ কোটি ১১ লাখ। আর এই সুবিধা ব্যবহার করা গেলে হবে ৭ কোটি ১৮ লাখ কমংস্থান। এ ছাড়া ২০২৫ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ, ব্যবহার করা গেলে ১ কোটি ৫৭ লাখ। ২০৩০ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে ১ কোটি ৭০ লাখ, আর ব্যবহার করা গেলে হবে ২ কোটি ৩৪ লাখ কর্মসংস্থন।  ২০৩৫ সালে সুবিধা কাজে না লাগানো গেলে ২ কোটি ১০ লাখ, সুবিধা কাজে লাগালে হবে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ২০৪০ সালে কর্মস্থান হবে ২ কোটি ৪৮ লাখ। তবে  করিডর সুবিধা কাজে লাগানো গেলে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান।’   

এডিবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক করিডরের তিনটি পরিপূরক উপাদান রয়েছে— একটি বাণিজ্য ও পরিবহণ করিডর উৎপাদন ক্লাস্টার, যা অভ্যন্তরীণ বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উভয়ই ব্যবহারের জন্য পণ্য উৎপাদন করে।

এ ছাড়া শহুরে কেন্দ্রগুলো উৎপাদনকেন্দ্র থেকে পণ্যগুলোর প্রধান বাজার হিসাবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের জন্য তারা শ্রম প্রযুক্তি, সহায়তা পরিষেবা, জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের উৎস হিসাবেও কাজ করে

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এছাড়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজার রহমান ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বক্তব্য রাখেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিব) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মি. সুন চ্যাং হোং। 

 

 

Link copied!