জুন ৬, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
ব্যাংকে গ্রাহকের ১০ লাখের বেশি টাকা জমা থাকলেই বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। তবে এটা ছোট আমানতকারীদের ওপর নয়, প্রভাব ফেলবে বড় আমানতকারীদের ওপর।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল তিনটায় বাজেট উপস্থাপন শুরু হয়। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট এটি।
দুই অর্থ বছর পর আবারও ব্যাংকে জমা টাকার ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। এখন ছয়টি স্তরে শুল্ক নেওয়া হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে এই স্তর হচ্ছে আটটি। যেখানে গ্রাহকের আমানত ১০ লাখ টাকার বেশি হলে বাড়তি অর্থ দিতে হবে।
প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা আগের অর্থ বছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থ বছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত এই বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’।
আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরের বাজেটেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। পরে যদিও লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরজুড়েই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশের বেশি। এদিকে আগামী অর্থ বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এই হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হলেও পরে তা ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।