পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়ে গেছে ২০-৩০ টাকা। সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এই ঘোষণার পরই বাংলাদেশে পণ্যটির বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। মাত্র এক রাতের ব্যবধানে দেশের অন্যতম পাইকার বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৮ টাকা। দেশের অন্যান্য পাইকারন বাজারেও একই অবস্থা।
খাতুনগঞ্জের আমদানীকারকরা জানান, ভারতের চেন্নাইয়ে সবচেয়ে বেশি পিঁয়াজ উৎপাদন হয়। অন্যতম পিঁয়াজ উৎপাদনকারী ভারত থেকে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আবর আমিরাত. মালেশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ কিছু দেশ আমদানী করে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে বাংলাদেশকে কোনো শুল্ক দিতে হতো না। তবে ভারতের তামিলনাড়ুসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ও মজুদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে দেশটিতে। যার প্রভাব পড়েছে সবজি উৎপাদনে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তে থাকে পিঁয়াজের দাম। একারণে ভারতে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদি সরকার তাই পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০% শুল্ক আরোপ করে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানা গেছে।
পেয়াঁজ রফতানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এক রাতের ব্যবধানেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৮-২৫ টাকা বেড়ে গেছে। গতকাল রবিবার প্রতি কেজি বাংলাদেশি পেয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার এক রাতের ব্যবধানেই বেড়ে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজও কেজিপ্রতি ১০টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, চীন, মিশর এবং তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ পিয়াজ আমদানি করে থাকে। হঠাৎ করে ভারত ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করায় কিছুটা অস্থির হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। অন্য দেশ থেকে বড় পরিসরে আমদানি হলে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে পেঁয়াজের বাজার।