এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান

‘খরচ বাঁচাতে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম কিনতে অনীহা’

সম্পা আক্তার

মার্চ ২, ২০২৪, ১২:০১ পিএম

‘খরচ বাঁচাতে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম কিনতে অনীহা’

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা উঠেছে। তবে অনেকেই মন্তব্য করেন, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের দাম বেশি হওয়ায়, এগুলো ব্যবহার করতে অনাগ্রহী দেখা যায়।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি হয় চড়া দামে। ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিনির্বাপণে সর্বত্র ব্যবহৃত হয় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর বা হিট ডিটেক্টর। যার বেশিরভাগই আমদানী হয় দেশের বাইরে থেকে। ফলে দামও বেশি হয়।

এফবিসিসিআই এর চেয়ারম্যান মো. নিয়াজ আলী চিশতি জানান, প্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জামের শতকরা ৯৫ ভাগ আমদানি করতে দিতে হয় উচ্চ কর। দাম বাড়ার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনেকেই এসব পণ্য নতুন করে কিনতে উদাসীনতা দেখাচ্ছে। যার ফলে অগ্নিনির্বাপনের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আবার, অনেকেই মনে করেন অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম লাগানো নেহাতই অপচয়। যার ফলাফল হিসাবে আমরা দেখতে পাই বেইলি রোডের মত ভয়াবহ আগুনের ঘটনা।

তিনি বলেন, এছাড়াও কার্বন ডাই অক্সাইড, ফোম, ড্রাই পাউডারসহ অন্যান্য আগুন প্রতিরোধী গ্যাস ও রাসায়নিক আমদানিতে আলাদা অনুমতির দরকার হয়। যে কারণে এসব পণ্য আমদানিকারকদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হয় অনেককেই। এসকল ঝামেলা থেকে বাঁচতে তারা ভবনে অগ্নিনির্বাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। ফলে দিনদিন এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে।

নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, ‘শর্ট সার্কিট বা আগুনের সূত্রপাত কোন ভবনের কোন তার দিয়ে হয় এটা শনাক্ত করতে অত্যাধুনিক পদ্ধতি রয়েছে। এর মাধ্যমে ধোঁয়া কিংবা  আগুন,গ্যাস ইত্যাদি লিক হলে সহজেই সেগুলো শনাক্ত করা যায়। তবে এই পদ্ধতিগুলো কারখানা, বিশেষ করে গার্মেন্টস খাতে ব্যবহার করা হলেও অন্যস্থানে এখনও ব্যবহার অনেক কম। ফলে ভুলভাবে আগুন নেভাতে গেলে বিপরীতে ভয়াবহতা বেড়ে যাচ্ছে ।’ এগুলো থেকে বাঁচতে আধুনিক শনাক্তকারী পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি বলে মনে করছেন এফবিসিসিআই এর চেয়ারম্যান।

দেশে আগুনের ঘটনা কমাতে এসকল  যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিতে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে। ভবন মেরামতের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ফায়ার ডোর, ফায়ার অ্যালার্ম ক্যাবল ও হোস রিল লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে । এছাড়া, জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা জরুরি বলে মনে করেন এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান।

Link copied!