দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে এনবিআর থেকে ‘অবমুক্ত’ অর্থাৎ বিদায় দেওয়া হয়েছে। তাকে এখন বগুড়ায় যোগদান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে তাকে অবমুক্ত করে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে গত ৩০ জুন কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি করা হয়। বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১-এ তার নতুন কর্মস্থল। এনবিআর থেকে ‘অবমুক্ত’ করার অর্থ- তাকে এনবিআর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বদলির কারণে বিদায় করা হয়েছে। এখন তাকে যোগদান করতে হবে বগুড়ায়।
২৭ জুন ঢাকার আদালতের কাছে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিবরণ তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ ঘটনার পর তিনি আর এনবিআরে অফিস করেননি বলে জানা গেছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠা প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
এ ছাড়া এই কর কর্মকর্তা ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, জব্দের এই আদেশ কার্যকর থাকাবস্থায় এসব সম্পদ হস্তান্তর বা বিনিময় করা যাবে না।
এর আগে এনবিআরের সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের নামে বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। দুদক এসব বিষয় অনুসন্ধান করছে। বেনজীর ও মো. মতিউর কীভাবে এত বিপুল সম্পদের মালিক হলেন- সেটা নিয়ে জাতীয় সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সদস্যরাও প্রশ্ন তুলেছেন।