বাজেট ঘোষণার আগেই চলতি বছর আরেক দফা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বাড়াসহ লাগামহীন হয়ে পড়েছে আদা, রসুন ও আলুর বাজার।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদেক খান কৃষি মার্কেটে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, পাবনার পেঁয়াজ প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ৮০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহেই পাবনার পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৬৮ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়।
এছাড়া দেশি রসুন গত সপ্তাহে ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২২০ টাকায়। ভারত থেকে আমদানিকৃত রসুনের দাম আবার এক ধাপ বাড়িয়ে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা হয়েছে ও আলু কেজি প্রতি ৫৫ টাকা।
এই মুহূর্তে দেশি পেঁয়াজের সংকট নেই। তবে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশের বাজারগুলোয় এখনও সরবরাহ না হওয়ায় দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এদিকে আগামী ৬ জুন বাজেট ঘোষণার পর পেঁয়াজ-রসুন, আদাসহ সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
পেঁয়াজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা জিহাদ চৌধুরী দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।”
এ সময় বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ করেন তিনি। শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “চলতি সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছি। প্রতি সপ্তাহেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বাজেটের পরে এই দাম আরও বাড়বে।”
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সচেষ্ট না হলে কোরবানির আগে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করে আরেক ক্রেতা জুবায়ের হোসেন বলেন, “পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। এভাবে দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।”
এদিকে বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই উল্লেখ করে বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, “এই মুহূর্তে বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এখনও আসেনি। দেশি পেঁয়াজের দাম কেন বাড়ল সেটা আমি জানি না। প্রতি সপ্তাহে এভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে।”
পেঁয়াজ, রসুন ও আদার লাগামহীন দাম জনমনে সৃষ্টি করেছে উদ্বেগ। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা ভোগান্তিতে পড়েছেন সবচেয়ে বেশি। কোরবানির ঈদ ও বাজেটের আগে এই মূল্যবৃদ্ধিকে ভালো চোখে দেখছেন না ভোক্তারা। তারা আশা করছেন, সরকার যেন এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনে।