হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাসস

জানুয়ারি ২২, ২০২৪, ০১:১৬ এএম

হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের ‘হস্তশিল্প’কে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখায় এ খাতে বিশেষ নজর দিতে হস্তশিল্পকে ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের পণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি। কারণ, এটি নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। হস্তশিল্প দারিদ্র্য বিমোচনেও অবদান রাখছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচল নিউ টাউনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে।

প্রতিবারই কোনো না কোনো পণ্যের প্রমোশনের জন্য বর্ষপণ্য ঘোষণার রেওয়াজ থাকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি।’

কেন হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য করা হলো তার ব্যাখ্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের যে বর্ষপণ্য অর্থাৎ হস্তশিল্পপণ্য সেটি আমাদের নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াবে এবং এর মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বী হবে। যারা গৃহকর্মে নিযুক্ত, তারা গৃহকর্মের পাশাপাশিও কিছু কাজ করতে পারবে। সে কর্মসংস্থানের সুযোগও তাঁদের জন্য সৃষ্টি হবে। আর একটা জাতিকে উঠে দাঁড়াতে হলে, যেখানে আমাদের অর্ধেকই নারী, তাদেরও আমাদের স্বাবলম্বী করতে হবে। নারীদের স্বাবলম্বী করা আমাদের আরও বেশি প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এটা তাদের সহায়ক হবে।’

এ জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার তৃণমূলে অনলাইন ব্যবহারের শিক্ষা দিচ্ছে; এমনকি সবার হাতে মুঠোফোনও রয়েছে। এ ছাড়া সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছে, সেখানেও অনেক সুবিধা রয়েছে। নারীরা বহু পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাঁর সরকার জয়িতা ফাউন্ডেশন করে দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

একেবারে তৃণমূলের মানুষ যে উৎপাদন করবে, সেটাই তারা বাজারজাত করবে। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে চমৎকার একটি ভবন করে দিয়ে বাজারজাত করার ব্যবস্থাও তিনি করে দিয়েছেন এবং এটি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করে দেবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

Link copied!