আগামীকাল রবিবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবারের নির্বাচনে খরচও হয়েছে প্রচুর। আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দু’দিনের সম্মানী ভাতা দেয়া হবে। এর ফলে আগের নির্বাচনের তুলনায় এবারে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশী অর্থ।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনের ব্যয় দু হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইতোমধ্যেই সরকার এই জন্য সাতশ কোটি টাকার বেশি ছাড় করেছে, যা নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।
যেসব খাতে খরচ
নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথমে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে বরাদ্দের চাহিদা বেড়ে সব মিলিয়ে ব্যয় ২০০০-২২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।
কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দেশ জুড়ে প্রায় নয় লাখ কর্মকর্তা নির্বাচনের কাজ করবেন।
তাঁদের প্রত্যেকের পিছনে প্রায় ৫০ হাজার টাকা করে লাগছে। তবে বেসরকারি পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান জানিপপের চেয়ারম্যান প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমউল্ল্যাহ মতে, সব দল অংশগ্রহণ না করায় এই নির্বাচনে ঝুঁকি বেশি। সেইকারণেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ায় ব্যয় বেড়েছে।
আগের নির্বাচনে খরচ
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন খরচ হয় প্রায় ৭০০কোটি টাকা। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২৬৫কোটি টাকা আর ২০০৮সালে নবম সংসদ নির্বাচনের ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৬৫কোটি টাকা।