সাধারণত প্রতিবছর ২৯ বা ৩০ জুন বাজেট পাস করে থাকে সংসদ। এবার কোরবানির ঈদের ছুটির কারণে কিছুটা আগেভাগে পাস হল এই বাজেট। নতুন অর্থ বছরের জন্য সরকারের ব্যয় অনুমোদন করেছে জাতীয় সংসদ।
আজ সোমবার সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার এই বাজেট অনুমোদন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২৩ সংসদে উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আগেরদিন রবিবার (২৫ জুন) সংসদে অর্থবিল পাস হয়। এদিন বহুল আলোচিত প্রস্তাব প্রত্যেক টিআইএনধারীর জন্য বাধ্যতামূলক ২ হাজার টাকার কর রহিত করা হয়েছে। এছাড়া কলমের উপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ কর পাঁচ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পহেলা জুন জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন। দেশের পরবর্তী এ বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ছিল ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে যাত্রা।`
এবার বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
ঘাটতি পুরণে বৈদেশিক ঋণ ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা ও ব্যাংকিং ব্যবস্হা থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেটে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
নতুন অর্থবছরে মোট জিডিপির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং সুসংহত অভ্যন্তরীণ চাহিদার কল্যাণের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নতুন অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। আর মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনার লক্ষ্য রাখা হয়েছে নতুন বাজেটে।
জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে সোমবার (২৬ জুন) ছিলো শেষ দিন। ঈদুল আজহার জন্য মুলতবি হবে সংসদের এ চলতি অধিবেশন। ২ জুলাই আবার অধিবেশন শুরু হবার কথা রয়েছে।