প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৩-২০২৪

আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২, ২০২৩, ১২:৫১ এএম

আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ

চলতি অর্থ বছরের মতো আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসব এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।’ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অবশ্য ২০২৩–২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে বলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল।

 ২০২২-২০২৩ অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে সাময়িক হিসেবে ওই অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হিসাব করা হয়।

সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে

বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার ক্রমান্বয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি থেকে বের হয়ে আসবে। পাশাপাশি মেগা প্রকল্পসহ প্রবৃদ্ধি বাড়াবে, এমন চলমান ও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে।

এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে জিডিপির ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব মতে, চলতি বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে জিডিপির ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপির হিসাব বা উপাত্ত প্রকাশ করবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য নিষ্কণ্টক জমি, উন্নত অবকাঠামো, নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা, আর্থিক প্রণোদনা ও সহজ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।

বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি

আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে এসেছে। এ ছাড়া দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে। আগামী অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে বলেও তিনি জানান।

Link copied!