ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা গায়েব!

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০৫:১১ পিএম

ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা গায়েব!

ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা খোয়া গেছে। গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এমন তথ্য উদঘাটন করে।

জানা গেছে, কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত পক্ষে ছিল ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিষয়টি ধামা চাপা দিতে নানা তৎপরতা শুরু হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিল হতে পারে, উধাও বলা যাবে না। আমার অ্যাকাউন্টে দুই লাখ থাকার কথা, সেখানে এক লাখ ৯০ হাজার হতে পারে এটাও একটা হিসাবের গরমিল, সেটা যে পরিমাণ টাকাই হোক না কেনো। কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ভল্টের টাকায় গরমিলের মতো প্রমাণ যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পাই, তবে অবশ্যই যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমি শিউর না, ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি এখনও তেমন কিছু জানি না। আসলে ব্যাংকটির কী গরমিল আছে জানি না, ভল্টে কম-বেশি হয়ে গেছে বা হয়ে থাকলে সেটাও ফল্ট। সুতরাং, এ ফল্ট যদি কোনো ব্যাংক করে তাহলে রুলস অ্যান্ড রেগুলেটরি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

এ নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

 

 

 

২০১৩ সালে যে ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশে অনুমোদন পায় সেগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড অন্যতম। ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়, মূলত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবসায় জড়িত ব্যাংকটি। প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মালিকানায় ছিল ব্যাংকটি। এখন ব্যাংকটি পরিচালনা করছে দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিল্পগোষ্ঠী।

সম্প্রতি পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এজন্য ১০ টাকা করে কোম্পানিটি ৪২ কোটি ২৮ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

এর আগে চলতি বছর ১৭ জুন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে চার কোটি টাকা লুট হয়েছিল। কয়েক মাস আগে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যাংকটির একজন আইটি অফিসার এক হাজার ৩৬৩টি লেনদেনের মাধ্যমে দুই কোটি ৫৭ লাখ সরিয়ে নিয়েছিলেন। ঘটনাটি ব্যাংকের অডিটে ধরা পড়ে।

Link copied!