দেশের ইতিহাসে সোনার দাম সম্প্রতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার পর শুক্রবার ( ২৭ মে) থেকে আবার কিছুটা কমেছে। ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকায়। তবে সামগ্রিকভাবে সোনার দাম এখন অনেক বেশি। উচ্চ মূল্যের কারণে সোনার অলংকারের ক্রেতা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, নতুন করে সোনার অলংকার কেনার বদলে বাড়তি দামের সুযোগ নিতে অনেকেই এখন ব্যবহৃত বা পুরোনো স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে দোকানে আসছেন। সোনার মূল্যবৃদ্ধির পর গত কয়েক দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কিছু সোনার দোকান ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যম ডলারের বিনিময় হার নিয়ে গত কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। টানা কয়েকদিন ডলারের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারের পাশাপাশি দেশেও সোনার দাম বেড়ে গেছে। দাম সমন্বয়ের জন্য গত রোববার সোনার দাম বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শুক্রবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগছে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়।
সোনা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক মাসে দেশে অনেকবারই সোনার দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এর প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারে। সর্বশেষ দফায় গত ২২ মে মূল্যবৃদ্ধির পরে সোনার অলংকার বিক্রি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর আমিন জুয়েলার্সের নিউমার্কেট শাখার বিক্রয়কর্মী স্বপন মণ্ডল জানান, সাধারণ সময়ে তাঁদের দোকানে প্রতিদিন অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন গ্রাহক গয়না কিনতে আসতেন। মূল্যবৃদ্ধির পরদিন গত সোমবার সেখানে মাত্র আটজন গ্রাহক এসেছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁদের বিক্রয়কেন্দ্রে এখন ব্রাইডাল সেটের মতো বড় গয়না বিক্রি একদমই কম হচ্ছে। সে তুলনায় আংটি, দুল ও চেইন—এসব ছোট অলংকার কিছু বিক্রি হচ্ছে।