নতুন বাজার খুঁজে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করব

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম

নতুন বাজার খুঁজে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করব

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। এদিকে ব্যবসায়ীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবে বলে সায় দেয়। তবে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি ও অন্যান্য সুযোগ নিশ্চিতকরার কথাও বলেছেন তারা।

সভায় সরকার প্রধান তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশের সকল নাগরিকের কাছে যথাযথ মূল্যে সরবরাহ করতে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে না। তাই এখন অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এনার্জি ক্রাইসিসে বাংলাদেশ একা না পৃথিবীর সব দেশেই কিন্তু ভুগছে। আজকে যেসব জায়গা থেকে আমরা সার, গম, খাবার পণ্য আনি সব জায়গায় সমস্যা। তাই ব্যবসায়ীদেরও নতুন নতুন জায়গা খুঁজতে হবে।

এদিকে ব্যবসায়ীরাও প্রধানমন্ত্রীর কথার সাথে একমত হয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের ফলে শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এই মুহুর্তে নিরাপদ খাদ্য সংকট যেন না হয় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে তারা।

তারা আরও বলেন, জরুরী ভিত্তিতে সার ও খাদ্যপণ্য আমদানির লক্ষ্যে অনেক দেশের সাথেই ব্যবসায়ীরা চুক্তি করেছে। তবে ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশে স্যাংশন চলায় আন্তর্জাতিকভাবেই বিষয়টি জটিল হচ্ছে। এছাড়া মালয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পাম ওয়েল সরবারহ কমে যাওয়ায় অন্য বিকল্প দেশও দেখছে তারা।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, নিরাপদ খাদ্যকে আগামী বছরের জন্য জোর দেয়া হয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সংকট মোকাবেলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করব বলে জানিয়েছি। সেই সাথে বিকল্প বাজারগুলো থেকে খাদ্য ও কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আশা করি সরকারের এমন সহযোগীতা থাকলে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব দেশে পরবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের (ব্যবসায়ী) সাথে কিন্তু অনেক দেশের চুক্তি আছে। তবে সেইসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে সেগুলো বিলম্বিত হয়। তবে বিকল্প ব্যবস্থা করার দিকে জোর দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। আমরা কিন্তু বিকল্প বাজারেরও অনুসন্ধান করে যাচ্ছি।

গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংকরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, আওয়ামী লীগের শিল্পও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ টিকে গ্রুপ, সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড, এস. আলম গ্রুপ, দেশ বন্ধু গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই লিমিটেড, আকিজ গ্রুপের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!