সরকারের সহযোগীতা চায়

বাংলাদেশে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

জুন ৬, ২০২৩, ০২:২২ এএম

বাংলাদেশে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা

বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স কর্তৃক টিকিট বিক্রি, কার্গো ভাড়া ও অন্যান্য সার্ভিসের বিপরীতে বাংলাদেশে বকেয়া প্রায় ২১ কোটি মার্কিন ডলার পাওনা আদায়ে সরকারের সহযোগীতা চেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)।

টাকায় এ পাওনার পরিমাণ হয় ২ হাজার ৩০০ কোটির মতো। আইএটিএ এ বকেয়া কে ব্লকড ফান্ড বা বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা রেভিনিউ (আয়) বলে থাকে।

এক বিবৃতিতে আইএটিএ জানায় ব্লকড ফান্ডের পরিমান বিগত এপ্রিল ২০২২ এর তুলনায় এপ্রিল ২০২৩ এ এসে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাড়িয়েছে।

আইএটিএ জানায় এই বিশাল দেনা আদায় করতে না পারলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে অব্যাহতভাবে সার্ভিস দেয়া সম্ভব হবে না।

আইএটিএ বলেছে শীর্ষ ব্লকড ফান্ড যেসব দেশে আছে সে তালিকায় বাংলাদেশ দ্বীতিয় স্হানে। সর্বোচ্চ ব্লকড ফান্ড রয়েছে নাইজেরিয়ায়। আফ্রিকার এ দেশটিতে উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার।

আইএটিএ জানিয়েছে, পাঁচটি দেশ মোট ব্লকড ফান্ডের ৬৮ শতাংশ আটকে রেখেছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা আলজেরিয়ার কাছে পাওনা ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তানের কাছে পাওনার পরিমাণ ১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার, এবং পঞ্চম স্থানে থাকা লেবাননের কাছে পাওনা ১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার।

আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ এক বিবৃতিতে বলেছেন, "প্রাপ্য অর্থ না পেলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলো ওইসব দেশে তাদের সেবা অব্যাহত রাখতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের উচিত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহা করা যাতে আকাশপথের কানেক্টিভিটি নিয়মিত বজায় থাকে।"

আইএটিএর অধীনে বিশ্বের ৩০০টি এয়ারলাইন্স রয়েছে। এ পরিমান বৈশ্বিক এয়ার ট্রাফিকের ৮৩ শতাংশ।

Link copied!