ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্যে ৩ বছরের জেল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৩, ২০২১, ০৫:৪২ পিএম

ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্যে ৩ বছরের জেল

ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে  ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন । তিনি বলেন, ‘যেসব পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট হচ্ছে ব্যাংকে, সেখানে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হতো। বর্তমান অবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কারণে এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে “

তিনি আরও বলেন, “এই খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার, ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা, এ খসড়া আইনে যুক্ত করা হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো কারেন্সি নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও একে স্বীকৃতি দেয়নি। ডিজিটাল ব্যাংকিং ডাজ নট মিন ক্রিপ্টো-কারেন্সি, এটা খেয়াল রাখতে হবে।”

খসড়া আইনের ৩৮ নম্বর ধারায় যারা বিভিন্ন রকমের অপরাধ করবে, তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, “ খসড়া আইনের ৩৯ ধারাতে ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরকে পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “খসড়া আইনে কিছু বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেয়া হবে, সেগুলো ৪ এবং ৫ নম্বর ধারায় মেনশন করা হয়েছে। ৪ ধারার বিধান লঙন করলে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, “মিথ্যা তথ্য বা দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে ফি আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রিসাইজ করে দেয়া হয়েছে।’

খসড়া আইনটি নগদ, বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, “পেমেন্টের যে ব্যবস্থাপনা, সে বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশনের আন্ডারে করা হতো। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধিবিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সেজন্য পুরো পদ্ধতিগুলোকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।”

Link copied!