জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা বা ব্যাখ্যা তুলে ধরতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এতে ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। একলাফে জ্বালানি তেলের দাম এত বাড়ার কারণে পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ছে। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
এ অবস্থায় সাংবাদিকেরা আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রিসভা কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বিপিসির চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে সবকিছু বলেছেন। সেটি আজকে মন্ত্রিসভাকেও অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু এটি কারিগরি বিষয়, তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে। তারা যে ব্রিফিং করেছে, সেটি যেন পুনরায় করা হয়। কিছুদিন পরপর যেন এটি করা হয়, সেটিও বলা হয়েছে।