নতুন বছরের দ্বিতীয় মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের তথা জানুয়ারি মাসের তুলনায় কমে গেছে। এ বছরের সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৭৮ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। জানুয়ারি মাসে দেশে আসা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের তুলনায় এই পরিমাণ ১৮ কোটি ২১ লাখ ডলার কম। আগের মাসের তুলনায় কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। গত বছর, তথা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০-২১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-২০ থেকে ফেব্রুয়ারি-২১) প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এক ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ লাখ ৪০ হাজার ১৮৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-২০ থেকে ফেব্রুয়ারি-২১ ) রেমিট্যান্স এসেছে এসেছে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে রেকর্ড ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এখন পর্যন্ত একমাসে এটিই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
এরপর আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১৯৬ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। এরপর গত অক্টোবরে ২১১ কোটি ২০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ৬ লাখ ডলার ও গত জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে তা আরও কমে ১৭৮ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে অবদান রাখছে ১২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো— সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর ও ইতালি।