আগস্ট ১০, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মেঘালয় সীমান্তে এক ভারতীয়র ওপর আক্রমণের অভিযোগে চার বাংলাদেশিকে বিএসএফ গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে এ আক্রমণের ঘটনা ঘটে বলে সেখানকার পুলিশের ভাষ্য।
এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জঙ্গলে সন্দেহভাজন চারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিএসএফ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে তাদের ‘বাংলাদেশি’ বলা হচ্ছে।
এনডিটিভিতে গ্রেপ্তার চারজনের নাম লেখা হয়েছে এভাবে-Mefus Rehman 35; Jangir Alom, 25; Meruphur Rahman, 32, and Saem Hussain, 30.
স্থানীয় পুলিশের ভাষ্য, সীমান্ত সংলগ্ন ওই গ্রামে দোকান চালান বলস্রাং এ মারাক। রাতে দোকানে ঢুকে তাকে অপহরণ করে ৮-৯ জনের একটি দল।
ভুক্তভোগী বলেছেন, ‘বাংলাদেশি অপরাধীরা’ তাকে হাতকড়া পরায় এবং সীমান্তে ঘুরাতে থাকে। আক্রমণকারীরা গলা কেটে দিত বলে তার মনে হয়েছিল।
ওই ব্যক্তির ভাষ্য, অন্ধকারের মধ্যে হাঁটার সময় তিনি দৌড়ে পালাতে সক্ষম হন এবং চোখের সামনে প্রথম যে বাড়িটি পড়ে, সেখানে ঢুকে পড়েন। চক্রটি তার দিকে গুলিও ছুড়েছিল।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। সন্দেহভাজনরা যখন বাংলাদেশের দিকে ছুটছিল, তখন পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তাদেরকে ঘিরে ফেলে ধরা হয়। আরেক সন্দেহভাজনকে ধরে গ্রামবাসী।
পুলিশ বলছে, তারা পৌঁছানোর আগেই ওই ‘বাংলাদেশিরা’ অস্ত্র, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও বাংলাদেশি পুলিশের পরিচয়পত্র ফেলে দেয়। তবে সেগুলোর সবই উদ্ধার করা হয়েছে।
চক্রের বাকিদের ধরতে বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তবে এ ঘটনা তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। বাংলাদেশের পুলিশ বলেছে, এ বিষয়ে এখনো তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
মেঘালয় বিএসএফের আইজি ও পি উপাধ্যায় বলেন, “এই মৌসুমে গবাদিপশুর চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে, বিএসএফ কর্মীরা বাধা দিলে অপরাধীরা সহিংস হামলা চালাচ্ছে। সীমান্তের বড় অংশ নদীবিধৌত হওয়ায় টহল দেওয়া কঠিন, এই ভূ-প্রকৃতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।”
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারি ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হুমকি ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
উপাধ্যায় বলেন, “এই ব্যক্তিরা কেবল গবাদিপশু চোরাচালানের সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়, ভারতীয় অংশে অনুপ্রবেশ করে বালি ও পাথরের মত প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে। এই অপরাধ বন্ধে বিএসএফ নজরদারি বাড়িয়েছে, নদীপথ নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্ত পারাপার রোধে বিশেষ দল মোতায়েনের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।”