জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি করা হবে। চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হতে মানুষের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
বুধবার সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয়র নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে সফরকালে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটা জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করবো। তারপর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি দুজনে মিলে সই করবেন বলে আমার ধারণা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুর মান খারাপ পর্যায়ে চলে গেলে আমরা একটা এলার্ট ইস্যু করতে চাই। জনসাধারণকে বলতে চাই, আজকে আমাদের বায়ুর যে মান আছে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচ- ঝুঁকি। তাই তাদের যদি জরুরি কাজ না থাকে তাহলে যেন ঘরের বাইরে না যায়।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকার আশেপাশে যে অবৈধ ইটের ভাটা আছে সেগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয় বলেন, বাংলাদেশের সাথে ফ্রান্সের অংশীদারিত্ব গভীর ও দৃঢ়। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত বিষয়, জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রভৃতি কার্যক্রমে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ফরাসি দূতাবাস ঢাকার ফার্স্ট কাউন্সেলর এবং ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন দেউর, বাংলাদেশে এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টরের ডেপুটি সিসিলিয়া কর্টেস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।