স্বল্পোন্নত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে চায় বাংলাদেশ। কপ-২৮ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ‘বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কপ সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আলোচনায়, স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্পত্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’
লক্ষ্যগুলো হলো- প্রথম গ্লোবাল স্টক টেক নির্ধারিত, ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন, ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা, মাইলফলক নির্ধারণ এবং স্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ। অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোর লোকসান ও ক্ষতি (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) আমলে নেয়ার লক্ষ্যে কপ-২৮ সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড কার্যকর করা এবং এর বিস্তারিত কর্মপরিধি ঠিক করা।
অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর কাঠামো তৈরি বা প্রণয়ন করা, সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য তাদের এনডিসিতে বর্ণিত ২০৩০ প্রশমন লক্ষ্যমাত্রাকে শক্তিশালী করা এবং এনডিসি বাস্তবায়নের জন্য এলডিসি দেশগুলোর অর্থায়ন বাড়ানো। উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত, প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি ডলার দেয়া নিশ্চিত করা ও জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা।
অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ২০২৫ পরবর্তী সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ‘নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল অন ক্লাইমেট ফিন্যান্স’ আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা।
বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘কপ সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান যথাযথভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে, ইতোমধ্যে দেশের বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মতামত নিয়ে একটি অবস্থান পত্র প্রণীত হয়েছে।’