গত বছর বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৭-এ ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ড গঠিত হয়। কিভাবে এ ফান্ড পরিচালনা করা হবে, এর সাচিবিক দায়িত্ব কে পালন করবে, এ ফান্ডে কারা টাকা দিবে- এ বিষয়গুলো নির্ধারণ করার জন্য তখনই একটি কমিটি গঠন করা হয়। যেটি হলো ট্র্যানজিশনাল কমিটি।
গত এক বছর ধরে আলোচনার পর একটি খসড়া জমা দিয়েছে এ কমিটি। গতকাল ২৮তম সম্মেলন উদ্বোধনের পর তাদের দেয়া খসড়া গৃহীত হয়।
এ খসড়া অনুযায়ী আগামী ৪ বছরের জন্য এ ফান্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে বিশ্বব্যাংক। টাকা আসবে উন্নত দেশগুলোর সরকারি তহবিলের পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকেও।
ট্র্যানজিশনাল কমিটির খসড়ায় কনসেশনাল ঋণের বিধানও রাখা হয়েছে, অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিতে পারবে এ ফান্ডের নামে।
আর এখানেই আপত্তি বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, ঋণ নয়, এ ফান্ডের প্রতিটি টাকাই হবে অনুদান বা ক্ষতিপূরণ। এখানে ঋণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাহলে আরও বেশি ঋণের জালে আটকে পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলো।
‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ডে বেসরকারি খাত থেকে কীভাবে টাকা আসবে এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের ক্লাইমেট রিস্ক ফান্ডের সেক্রেটারী গোলাম রব্বানী বলেন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড নিয়ে যখন কথা বলা হয় তখন দরিদ্র দেশগুলো আলোচনায় উঠে আসে। এই ফান্ডের খসড়ায় একটা লোনের ব্যাপার আছে। আমরা বলে এসেছি, লস অ্যান্ড ড্যামেজ এর ফান্ড শতভাত গ্র্যান্ড হওয়া উচিত। অবশ্য ঋণের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকছে। বিশ্বব্যাংক ৪ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছে, ফলে তাদের পারফরমেন্স দেখার সুযোগ রয়েছে।’
‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ ফান্ড কি বাস্তবায়ন হওয়ার পর্যায়ে আছে? এই প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে সংযুক্ত আরব আমিরাত ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এভাবে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ এই ফান্ডে টাকা দিয়েছে। ফলে ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে চলে এসেছে। আমরা খুব দ্রুত লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা সম্ভব হবে।
মেহেদী আল আমিন
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে