রঙিন ডাস্টবিন দিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৫, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম

রঙিন ডাস্টবিন দিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধ

পরিবেশ দূষণ রোধে বিশ্বজুড়ে নেওয়া হচ্ছে নানা রকম উদ্যোগ। দূষণ কমাতে পরিবেশের বর্জ্যগুলোকে আলাদা করে বাছাই করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিন। একইসাথে সব ধরনের বর্জ্য ফেলা হলে যেগুলো অপচনশীল সেগুলো পরিবেশের ক্ষতি আরও বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিন ব্যবহার করা হয় যেগুলো দিয়ে আলাদা অর্থ প্রকাশ পায়।
ভিন্ন ভিন্ন বর্জ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রঙের ময়লার ঝুড়ি বা ডাস্টবিন ব্যবহার করার বিষয়টি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কালার কোডিং নামে পরিচিত। কোন বর্জ্যগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং কোনগুলো ধ্বংসযোগ্য বা বিপজ্জনক এই পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয়। পুর্নব্যবহার যোগ্যগুলো বাছাই করে বিপজ্জনক বর্জ্যগুলো সাধারণত পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশনা থাকে।

কালার কোডিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য আলাদা করে থাকে বর্জ্য অপসারণকারী সংস্থাগুলো। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহজেই বর্জ্যগুলো বিভিন্ন বিভাগে বাছাই করতে পারে, যা তাদের সঠিক বর্জ্য অপসারণ করার কাজে সাহায্য করে। 
কোন রঙের ডাস্টবিনগুলো কি অর্থ নির্দেশ করে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

নীল ডাস্টবিন: শুকনো আবর্জনা, ক্ষয় ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের জন্য। পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাগজ, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, কার্ডবোর্ড, খাবারের টিন, কাচের বোতল এবং জার, প্লাস্টিকের বোতল, টেট্রা প্যাক প্যাকেজিং, ইত্যাদি।

বাদামি ডাস্টবিন: বাগান বর্জ্য রাখার জন্য।

সবুজ বা ধূসর ডাস্টবিন: পুনর্ব্যবহারযোগ্য খাদ্য বর্জ্যের জন্য। এগুলো সাধারণত বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য বা কম্পোস্টেবল উপাদান ধারণ করে।

লাল ডাস্টবিন:  বিপজ্জনক বর্জ্য রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলো সাধারণত অ-পুনর্ব্যবহারযোগ্য আবর্জনা।

হলুদ ডাস্টবিন: বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য যেমন: সিরিঞ্জ, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাবলেট, মানুষের শারীরবৃত্তীয় বর্জ্য ইত্যাদি আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এ ধরনের ডাস্টবিন হাসপাতাল, রাসায়নিক ল্যাব, ক্লিনিক, কারখানা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

কমলা রঙের ডাস্টবিন: হাসপাতালে সংক্রামক বর্জ্যের জন্য কমলা ব্যবহার করা হয়।

কালো ডোরাবিহীন হলুদ: হাসপাতালে বিপজ্জনক বর্জ্য রাখার জন্য।

বেগুনি রঙের ডাস্টবিন: হাসপাতালে সাইটোটক্সিক বর্জ্য রাখার জন্য। হাসপাতালের বর্জ্য সাধারণত সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করার পর পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কালার কোডিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ আরও অনেকটা কমানো সম্ভব।

Link copied!