ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এসেছেন পর্যটকরা। ঈদের দিন তুলনামূলকভাবে পর্যটক কম হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।
দেখা গেছে, পর্যটকরা সৈকতের কিটকটে বসে, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন।
হোটেলমালিকেরা বলেন, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির চার দিনে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণ করবেন অন্তত চার লাখ পর্যটক। তখন হোটেল–রেস্তোরাঁসহ পর্যটন–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। শুক্রবার সকাল থেকে সৈকতের আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও খাবারের দোকানে বিক্রি বেড়েছে। রোজার মাসে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের হোটেলকক্ষ ভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হলেও ঈদের ছুটিতে যাঁরা ভ্রমণে আসছেন, তাঁদের কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউসে দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ২৮ হাজার।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এবারের রোজার মাঝামাঝি সময় হতেই তীব্র তাপদাহ চলছে। ফলে অন্য সময়ের রোজার চেয়ে পর্যটক শূন্যতায় ছিল কক্সবাজার। আর ঈদের প্রথম দিনেও তেমন কোনো জন কোলাহল ছিল না বলা যায়। ফলে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটক নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল হতে পর্যটন এলাকায় জনসমাগম বেড়েছে। গরম উপেক্ষা করেই বেলাভূমি লোকারণ্য হয়ে আছে। এ ধারা আরও দুদিন থাকবে বলে আশা করছি আমরা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা ও সেবায় সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষনিক টহল রয়েছে। ঈদের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটক সমাগমের কথা মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে। সৈকতে পর্যটকদের ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করেছি আমরা। বিপদাপন্ন কোনো পর্যটক একটি বাটন টিপেই সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন।