বেশ কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর অবৈধ নজরদারির অভিযোগে দেশটির একটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ চীনের একাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস ও এর ১১টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথিত মস্তিষ্ক-নিয়ন্ত্রণ অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া, বেশ কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ। এর কারণ হিসেবে বেশ কিছু নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “ওয়াশিংটন যেসব প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেগুলো জৈবপ্রযুক্তি ও মানবাধিকারের অপব্যবহার করতে নজরদারিমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।”
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠীর অনুমান, ১০ লাখের বেশি সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমকে জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যে সেন্সটাইম গ্রুপ লিমিটেড নামে এক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে চীনা সামরিক বাহিনীর অংশীদারত্ব রয়েছে। নজরদারি প্রযুক্তি পরিচালনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। উইঘুর মুসলিমদের দমনের বিষয়টি মাথায় রেখে এই প্রতিষ্ঠান একটি চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
সূত্র: রয়টার্স