ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ১১:৩১ এএম
মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। মাদকসংক্রান্ত অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানোর পর দেশটির একটি আদালতের বিচারক তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।
আদালতের মুখপাত্র মেলভিন দুতার্তে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন,“ হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।”
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার হন্ডুরাসের রাজধানী তেগুচিগালপায় সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরে সুরক্ষা বলয় তৈরি করে পুলিশ হার্নান্দেজকে বাসভবন থেকে বের করে আনে। এসময় হার্নান্দেজের পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল এবং হাতে পরানো ছিল হাতকড়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হার্নান্দেজের প্রত্যর্পণের অনুরোধ করার পরিকল্পনা করেছে বলে গত কয়েক মাস ধরে জল্পনা চলছিল। তিনি মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে পদত্যাগের পর থেকে এ জল্পনা চলছিল। বামপন্থী নেতা জিওমারা কাস্ত্রো গত মাসে তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
হার্নান্দেজ ২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত হ্নডুরাসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।ছবি: সংগৃহীত
তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ চক্রের সদস্য তার ছোট ভাই টনি হার্নান্দেজকে যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
টনি হার্নান্দেজের বিচার চলাকালে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, কুখ্যাত মেক্সিকান মাদক সম্রাট জোয়াকুইন "এল চ্যাপো" গুজমান ব্যক্তিগতভাবে টনি হার্নান্দেজকে এক মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারের জন্য প্রধান ট্রানজিট দেশ হিসেবে হন্ডুরাসকে ব্যবহার করা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া সম্প্রতি দেশটিতে কোকেইন উৎপাদন করা হচ্ছিল।
জোয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজ সব সময় প্রচার করেছেন যে, তিনি মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তার ক্ষমতার সবকিছু ব্যবহার করছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সময়, তিনি মার্কিন সরকারের সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। আর এ কারনেই তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে হন্ডুরাস সরকার ওয়াশিংটনকে অনুরোধ জানানোর পর তাকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।