জানুয়ারি ২৯, ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ট্রাম্প বলেছিলেন, অধিকাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী ডেনমার্ক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান। জনমত জরিপ বলছে বাস্তব ঠিক তার উল্টো।
জরিপ সংস্থা পোলস্টার ভেরিয়ান সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডে একটি জনমত সমীক্ষা করেছে। ডেনমার্কের একটি পত্রিকার অনুরোধে তারা এই জরিপ চালায়। সেখানে গ্রিনল্যান্ডের মানুষদের প্রশ্ন করা হয়, তারা ডেনমার্কের অংশ হয়েই থাকতে চান, নাকি যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান।
এই প্রশ্নের উত্তরে দেখা গেছে, গ্রিনল্যান্ডের ৮৫ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না। তারা যেমন আছেন, তেমনই থাকতে চান। ছয় শতাশ মানুষ চান যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে। নয় শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
এদিকে ট্রাম্প প্রথমে বলেছিলেন, ভূরাজনৈতিক নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়া উচিত। এরপর তিনি জানান, গ্রিনল্যান্ডের ৫৭ হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান। খবর নিয়েই তিনি একথা বলছেন। কিন্তু ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের মানুষের জনমত জরিপের তথ্য মিলছে না।
২০০৯ সালে গ্রিনল্যান্ডকে স্বায়ত্তশাসনের চরম ক্ষমতা দেয়া হয়। বলা হয়, গণভোটের মাধ্যমে তারা স্বাধীনতার কথাও ভাবতে পারে। অর্থাৎ, ডেনমার্কের থেকে তারা আলাদা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু গত ১৬ বছরে সে কাজ তারা করেনি। কারণ ডেনমার্কের ছত্রছায়াতে থাকলেও কার্যত স্বাধীনভাবে সরকার চালায় গ্রিনল্যান্ডের প্রশাসন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ডের মানুষই ঠিক করবেন, তারা কী চান।
অন্যদিকে ডেনমার্ক জানিয়েছে, তারা গ্রিনল্যান্ডে সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করবে। গ্রিনল্যান্ডের সুরক্ষার জন্য একাজ করা হবে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণ করবে কারণ, ওই অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের অংশ। যদিও গ্রিনল্যান্ড এখন ডেনমার্কের অংশ। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ডেনমার্কের সরকার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে। গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় সরকারও এর বিরোধিতা করেছে।