আগস্ট ২৪, ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে শতদ্রু নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকায় স্থানীয় সরকার অন্তত পাঁচটি জেলার উচ্চ সতর্কতা জারি করে ১৯ হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
পাকিস্তানের রাজস্ব বোর্ডের এক হাইড্রোলজিক্যাল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাবের গণ্ডা সিং ওয়ালা এলাকার বন্যা পরিস্থিতি সংকটজনক এবং তা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) ২৪ থেকে ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলাজুড়ে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া ও জরুরি অভিযান শুরু করেছে।
পাঞ্জাবের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলা প্রশাসন নদী তীর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে। উদ্ধারকারী বাহিনীর মুখপাত্র ফারুক আহমদ জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্রদেশটির কাসুর, ওকারা, পাকপত্তন, বাওয়ালনগর ও ভেহারিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিন্ধু, চেনাব, রাভি, শতদ্রু ও ঝিলম নদী সংলগ্ন এলাকাগুলো থেকে ১৯৯৪৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সিন্ধু নদীর পানি তারবেলা ও কালাবাগ পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে চেনাব ও রাভি নদীর পানি সবগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রধানত শতদ্রু নদীর পানির কারণেই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মুলতানের ডিসি ওয়াসিম হামিদ বলেছেন, “সম্ভব্য ক্ষতি এড়াতে আমরা ঝুঁকির মুখে থাকা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছি।”
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২৪ থেকে ২৭ অগাস্ট বৃষ্টির আরেকটি পর্ব বয়ে যেতে পারে আর এ সময় পাঞ্জাবের উঁচু অঞ্চলগুলোতে ও দেশের অন্যান্য অংশে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে।
পাঞ্জাবের রিলিফ কমিশনার নাবিল জাভিদ জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আগেই উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে আর ত্রাণ শিবিরগুলো পুরোপুরি চালু করা হয়েছে।